মহামারী করোনা মোকাবিলায় মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করা জরুরি। বিশ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে ভাইরাসটির মৃত্যু ঘটে বলে ইতোমধ্যে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। সপ্তাহে একদিন বা ১৫ দিনে একদিন বাজার করুন। বাসার বাইরে গেলে মাথায় টুপি ও চোখ প্রটেকটিভ চশমা পরুন। বাইরে ভিজিয়ে রেখে পরে ধুয়ে নিন। জুতার সোল ব্লিচিং পাউডার পনিতে গুলে তা দিয়ে মুছে নিন। হাটবাজার বা হাসপাতালে গেলে অন্য মানুষ থেকে ৩ থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। টাকার মাধ্যমে জীবাণু ছড়াতে পারে। তাই টাকা পলিথিন দিয়ে মুড়ে গ্লাভ পরে লেনদেন করুন। টাকা ধরার পর ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
এ সময় নাক, চোখ, মুখে হাত দেওয়া উচিত নয়। জ¦র, সর্দি, গলাব্যাথা বা শরীরে ম্যাজম্যাজ ভাব হলে শ্বাসকষ্ট না থাকলে বাড়িতে থাকুন।
জ্বর হলে ট্যাবলেট নাপা ৫০০ মিলিগ্রাম ১টা করে ৩ বার ভরাপেটে থাবেন। সর্দি, কাশি থাকলে ট্যাবলেট ফেক্সো ১২০ মিলিগ্রামস ১টা করে দুবার খাবেন। ট্যাবলেট মোনালাস্ট ১০ মিগ্রা ১টা করে রাতে ১৫ দিন খেতে হবে। গলাব্যথা হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে তিনবেলা গড়গড়া করবেন।
এ সময়ে প্রচুর পানি, লেবুর শরবত, কমলা, জাম্বুরা, আনারস ইত্যাদি ফল প্রচুর শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম খাবেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। বাসায় নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। বই পড়–ন, সিনেমা দেখুন এবং পরিবারের সদস্যদের সময় দিন। শাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যাদের স্টোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাঁপানি আছে, তারা জ¦র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। প্রত্যেক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী পিপিই বা সুরক্ষামূলক পোশাক পরিধান করে রোগীর চিকিৎসা দেবেন। এতে তাদের নিজেরও প্রোটেকশন হবে এবং তারা দেশ ও জাতিকে বেশি সেবা দিতে পারবেন।
যেসব রোগী ইতোমধ্যে শনাক্ত হয়েছেন, তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। কোয়ারেন্টিন, খাওয়া, কাপড় চোপড়, টিভি সব আলাদা রুমে হবে। তিনি পরিবারের অন্য সদস্য থেকে একদম বিচ্ছিন্ন থাকবেন।
মনে রাখতে হবে, আমরা বাইরে যত কম যাব, তত কম আক্রান্ত হব ভাইরাসটিতে। করোনা ভাইরাস একটি সেলফ লিমিটিং ডিজিজ, যা আপনাআপনিই দূর হয়। যার শরীর অন্য অসুখ আছে, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারা বেশি জটিলতায় ভোগেন। ভিতু না হয়ে আসুন সতর্ক হই। সবাই সুস্থ থাকি।
Leave a Reply